বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০১৫

Rational Evolution



যৌক্তিক উদবর্তন
___________________________________________
ভাবছি কি করবো কিছু একটা করা দরকার। বসে থাকলে শরীরে এক ধরণের অলসতা এসে বাসা বাঁধে। অলসতা মাঝে মধ্যে নয় প্রায়ই ভালো লাগে। মানুষ আসলে কিছুটা অলস তবে জীবনের প্রয়োজনে মানুষ তৎপর হতে হয়। যারা এই প্রয়োজনটাকে ঠিকমতো টাইমিং করতে পেরেছেন তারাই জীবনে ধন্য হয়েছেন। ঠিক সময়ে সময়ের কাজটি করতে পারা হচ্ছে যোগ্যতমের কাজ। চার্লস ডারউইনের মানব বিবর্তন নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে কিন্তু তার যোগ্যতমের উদবর্তন তত্বটি আসলে একটি খাঁটি তত্ব। অর্থ্যাৎ পৃথিবীতে অনেক প্রাণীর আবির্ভাব হতে পারে কিন্তু বেঁচে বা টিকে থাকার জন্য সকলে উপযুক্ত নয়। বেঁচে থাকবে তারা যারা বেঁ^চে থাকার লড়াইয়ে জেতবেন যথার্থ বুদ্ধিমান, শক্তি সামর্থ নিয়ে।
আজতক এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড থেকে কত জীব জন্তুই না চিরতরে বিলীন হয়ে গেছে। তাদের অনেকের কোন হদিসও বিজ্ঞানীরা পাননি এমনও আছে। ডাইনোসরসহ অনেক বৃহদাকৃতির প্রাণী হারিয়ে গেছে কারণ হচ্ছে তারা যোগ্যতম নয়। তারা পৃথিবীর রূপ রস পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি , তাই বলতে কষ্ট হলেও এটা নিদারূন সত্য তাদেরকে বিলীয়মানতার পথ ধরে চলে যেতে হয়েছে শক্তির বিচারে অনেক বড় প্রাণী হওয়া সত্ত্বেও।
মানবকুল সে বিচারে অনেক যোগ্যতম বলা যেতে পারে। শুধু যোগ্যতমই না সে প্রকৃতির উপর এক ধরনের আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেছে। মানুষ এই বৈরী মহাজাগতিক পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রযোজনে নিজের এক্সটেনশন করছে বিভিন্ন যান্ত্রিকতার সফল ব্যবহারের মাধ্যমে। মুলতঃ বর্তমানে মানবের এক্সটেনশন চলছে। অর্থ্যাৎ মানুষের স্বাভাবিক শক্তির সামর্থের যেখানে শেষ হচ্ছে সেখান থেকে শুরু হচ্ছে যান্ত্রিকতার সাহায্যে সে শক্তিকে বর্ধনের কাজ। সে ক্ষেত্রে মানবকুল অনেক সফলতাও দেখিয়েছে। আবার যান্ত্রিকতার বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াও নেই যে তাকিন্তু নয়। ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের মতো আবার নিজের সৃষ্টি নিজেকে ধ্বংশ করে দিতে কার্পণ্য করছে না।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যে বৈরী আবহাওয়া বা ঋতু পরিবর্তনের ফলে ঝড় ঝঞ্জার ক্রমাগত বৃদ্ধি হচ্ছে তার কার্যকারণ সূত্র কিন্তু মানবসৃষ্ট কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধি ক্রমাগত শিল্পায়নের ফলে কারখানা হতে নির্গত কার্বন অন্যান্য গ্যাস যা গ্রীণ হাউজ ইফেক্ট বাড়িয়ে তুলছে , পৃথিবীকে ক্রমাগত উত্তপ্ত করে তুলছে। যার ফলে সবচেক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকার সর্বপ্রথম আাছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের চাকা যখন ঘুরবে ঘুরবে করছে তখন মরার উপর খারার ঘা এর মতো আরেক বিপদ এসে জুটলো বাংলাদেশের কপালে। আর্থিক বরাদ্দের একটা বিরাট অংশ ব্যয় করতে হবে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য। এটাও এক ধরনের ফ্রাঙ্কেনস্টাইনীয় দানব আমাদের জন্য এবং অবশ্যিই বিশ্বের জন্য
যাশুরু করেছিলাম, অর্থ্যাৎ যোগ্যতমের উদবর্তন। মানুষ এই বিশ্বে অবশ্যিই যোগ্যতম। কিন্তু বিশ্বের বা মানব জীবনের অনেক ট্রাজেডীর মতো মানুষ একসময় ইতিহাসের খলনায়কে পরিণত হতে পারে। অথবা নিজের এক্সটেনশন একসময় মানুষের স্বেচ্ছাচারিতাকে সহজ ভাবে নেবে কিনা তা ভাববার বিষয়। ইতোমধ্যে অনেক নজিরতো মানুষ দেখেছে যোগ্যতম হওয়া তাই যৌক্তিক হতে হবে এবং তাঅবশ্যিই মানবিক হতে হবে। অতি যোগ্যতম হওয়ার কোশেশ থেকে মানুষকে সরে আসতে হবে। মানুষের উদবর্তনের জন্য অবশ্যিই একটা Logical framework তৈরী করে নিতে হবে অথবা মানুষের বিলীন হতেও সময় লাগবে না

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন